Top

Welcome To Official Website Of Aid For Men

পুরুষ হয়ে জন্ম নিলেই মৃত্যুদন্ডের বিধান করার দাবি করে মানববন্ধন করে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন।

পুরুষ হয়ে জন্ম নিলেই মৃত্যুদন্ডের বিধান করার দাবি করে মানববন্ধন করে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন।

By: Shawon (Desk) || Date: 14 Nov 20

পুরুষের বিরুদ্ধে লিঙ্গ-বৈষম্যপূর্ণ আইন বিলোপন অন্যথায় পুরুষ হয়ে জন্ম নিলেই মৃত্যুদন্ডের বিধান করার দাবি করে মানববন্ধন করে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন।

 ১৪/১১/২০২০ বিকাল ৪ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে, পুরুষের বিরুদ্ধে লিঙ্গ-বৈষম্যপূর্ণ আইন বিলোপন অন্যথায় পুরুষ হয়ে জন্ম নিলেই মৃত্যুদন্ডের বিধান করার দাবি করে মানববন্ধন করে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক খান, উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আইন উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাওসার হোসাইন, এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম, এ ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মাহিন মর্তুজা অনিক বক্তব্য রাখেন। লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, একের পর এক লিঙ্গ-বৈষম্যপূর্ণ আইনের মাধ্যমে পুরুষদেরকে মরণফাঁদের দিকে ধীরে ধীরে ঠেলে দেওয়ার চাইতে এটাই ভাল, একেবারেই ঘোষণা করে দেওয়া হোক, “দেশে পুরুষ জন্ম হলেই তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে” । বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি আইনের মাধ্যমে পুরুষের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে কেন? বিয়ের উদ্দেশ্যে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে পালিয়ে গেলে ছেলে এবং ছেলের পরিবারের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা। যেখানে দুজনের সম্মতিতে পালিয়ে গেলো সেখানে শুধুমাত্র ছেলে এবং ছেলের পরিবারের উপর সম্পূর্ণ দায় চাপানো কতটুকু যৌক্তিক? বাংলাদেশের পুলিশের এক রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রেমঘটিত অপহরণ মামলাই ৮৪%!! প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কের পরে সম্পর্কের বিচ্ছেদ হলে পুরুষের বিরুদ্ধে নারীরা বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করে থাকেন। অথচ এ জাতীয় ক্ষেত্রে পুরুষরাও বিচ্ছেদের শিকার হয়, তাহলে পুরুষরা কেন এই বিষয়ে ধর্ষণ মামলা করতে পারে না? প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর ক্ষেত্রে সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ হওয়ার পরেও শুধুমাত্র পুরুষকে দোষী করে এই ধরনের ধর্ষণ মামলা কতটুকু যৌক্তিক? কেন এই অনৈতিক সম্পর্কের শাস্তি ও দায় পুরুষকেই শুধুমাত্র বহন করতে হবে? নারীকে দায়মুক্তি কেন? ধর্মীয় ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ ধরনের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক হলে দুজনেই অপরাধী হওয়ার কথা। তাহলে কেন এমন অনৈতিক অপরাধের দায় শুধুমাত্র পুরুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এডভভোকেট কাউসার হোসাইন বলেন “বৈবাহিক সম্পর্ক চলাকালীন সময় অনেক নারী বিবাহ-বহির্ভূত অনৈতিক পরকীয়া বা ব্যভিচারে জড়িয়ে পড়ে। অথচ এই সমস্ত বিবাহ-বহির্ভূত অনৈতিক ব্যভিচারে জড়িয়ে পড়লে নারীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনত শাস্তির বিধান নেই! ব্যভিচারের ৪৯৭ ধারায় পরকীয়া বা ব্যভিচার করলে এ ক্ষেত্রে নারীকে শাস্তি প্রদানের বিধান নেই! অপরদিকে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের কারণে বিবাহবিচ্ছেদ করতে গেলে মোটা অংকের দেনমোহর ও মিথ্যা মামলার ভয়ে আতঙ্কে অনেক পুরুষই স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারে না! স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে এবং নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলার ভয়ে অনেক পুরুষই মানসিক যন্ত্রণায় বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ! উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, চট্টগ্রামের ডা. আকাশ স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। অনেক সময় স্বামী স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিলে, তাকে পথের কাঁটা হিসেবে মনে করে স্বামীদেরকে হত্যা করছে স্ত্রী ও স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকরা। তার উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রংপুরের আইনজীবী রথীশ চন্দ্র কিন্তু স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের বলী। এই ধরনের অনৈতিক পরকীয়া সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে নারীরা অনেক সময় নিজের সন্তানদেরকেও হত্যা করছে। এর উদাহরণও অনেক আছে যেমন বাড্ডায় আরজিনা ও তার পরকীয়া প্রেমিক মিলে, স্বামী জামিল শেখ ও তার মেয়ে নুসরাত কে হত্যা করে। আরেকটা খুবই আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, অনেক পুরুষই পারিবারিক সহিংসতার শিকার হলেও পারিবারিক সহিংসতা আইন-২০০০ এ পুরুষ যে সহিংসতার শিকার হয় তা আইনে স্বীকার করা হয়নি!! বিবাহ ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া এবং বিবাহের মত পবিত্র সম্পর্ককেও প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে একশ্রেণীর কুচক্রী মহল বৈবাহিক ধর্ষণ নামের নতুন একটি ধারা আইনে সংযোজনের চেষ্টায় লিপ্ত। এই ধারা সংযোজন হলে বিবাহ ব্যবস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা ভেঙে পড়বে। বিবাহের মত বৈধ সম্পর্কে ধর্ষণের মতো শব্দ ব্যবহার করে বিবাহ ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে! আর বৈবাহিক ধর্ষণ যদি আইন হয় তাহলে স্ত্রীরা যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনের মত এই আইনেরও ব্যাপক অপপ্রয়োগ করবে, ফলে বিবাহ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে ভেঙে পড়বে। অপরদিকে বৈবাহিক ধর্ষণের প্রমাণ নিয়ে তৈরি হবে জটিলতা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অন্যান্য কোন বিষয়ে ঝগড়া হলেও ধর্ষণ মামলা করবে স্ত্রীরা, ফলে বৈবাহিক সম্পর্ক হয়ে যাবে একটি মানসিক যন্ত্রণার কারণ। এমনিতেই নানাবিধ ও সামাজিক আইনি বৈষম্যের কারণে পুরুষরা বৈবাহিক সম্পর্কে জড়াতে এখন ভয় পায়, বৈবাহিক ধর্ষণ যদি আইন করা হয় তাহলে পুরুষরা আর বিয়ে করতে চাইবে না। অপরদিকে বৈবাহিক ধর্ষণ, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈবাহিক সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলবে। বৈধ ও পবিত্র বৈবাহিক সম্পর্কে ‘ধর্ষণ’ শব্দ যুক্ত হলে বিবাহের মতো পবিত্র সম্পর্ককে অপমান করা হবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম বলেন, স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিবার কর্তৃক স্বামীরা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে - এরকম খবর এখন প্রতিনিয়তই মিডিয়ায় আসছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন, এমনকি লিঙ্গ কর্তনের মত অপরাধের শিকার হচ্ছে পুরুষ, অথচ দেশে এখনো পুরুষ-নির্যাতন প্রতিরোধে কোনও আইন নেই, পুরুষ-নির্যাতক নারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির বিধান নেই।