Top

Welcome To Official Website Of Aid For Men

Welcome To AID For MEN

মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে। অথচ পুরুষেরা আজ বৈষম্যের শিকার। বর্তমান সামাজিক ও আইনি ব্যবস্থায় সমাজের সকল অপকর্মের দায়ভার শুধুমাত্র পুরুষের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ায়, পারিবারিক সংহতি আজ বিপর্যস্ত। সমাজে নানাভাবে পুরুষ ও নারী উভয়ই নির্যাতিত। কিন্তু বর্তমান সামাজিক আইনি ও রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে, নারী নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করা হলেও, স্বীকার করা হয় না পুরুষ নির্যাতনের বিষয়টি। নির্যাতন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যেকোন লিঙ্গের মানুষ করতে পারে। কিন্তু বর্তমান সামাজিক ও আইনি দৃষ্টিভঙ্গিতে নির্যাতন শুধু পুরুষই করতে পারে। নারীও যে কাউকে নির্যাতন করতে পারে, বিষয়টি স্বীকার করা হয় না।

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে, যেখানে পুরুষ নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোন আইনই নেই। নারী নির্যাতন নিয়ে প্রতিবেদনে, জরিপ, গবেষণা, এবং নির্যাতিত নারীকে সহায়তার উদ্দেশ্যে রয়েছে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সংগঠন ও এনজিও। অথচ পুরুষ নির্যাতন নিয়ে গবেষণা, জরিপ, প্রতিবেদন, এবং নির্যাতিত পুরুষদের সহায়তার জন্য পুরুষবিষয়ক কোন মন্ত্রণালয় নেই। নেই কোন এনজিও। পুরুষ নির্যাতন নিয়ে গবেষণা ও প্রতিবেদন না থাকায়, এর মাত্রা এবং ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারছে না জনসাধারণ। ফলে সচেতনতাও তৈরি হচ্ছে না তাদের মাঝে।

 

মিশন ঃ

বাংলাদেশী মানুষের আর্থ সামাজিক বিকাশ; বিশেষত নারী ও পুরুষের আইনগত অধিকার বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়া ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়া । সেবায় নিয়োজিত একটি কল্যাণমূখী, অরাজনৈতিক, অলাভজনক, দাতব্য বেসরকারী ফাউন্ডেশন। যাহা শুধু বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বাস্তবায়নে দান-অনুদানে চলবে। বর্ণিত সকল উদ্দেশ্যাবলী বাস্তবায়নের পূর্বে সরকার/ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের /উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণের পর কার্য্যক্রম আরম্ভ হইবে এবং এ্যাক্ট ১৮৬০ এর ২০ ধারার বিধানের পরিপন্থি উদ্দেশ্য /উদ্দেশ্যাবলী কার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে।

ভিশনঃ

"এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন" এমন একটি সংস্থায় পরিণত হতে চায় যেটি জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন ও প্রয়োগের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল সামাজিক বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে টেকসই সমাজ ব্যবস্থা গঠনে অবসান রাখবে ফলশ্রুতিতে রক্ষা পাবে সমাজিক  ন্যায়বিচার , লিঙ্গ সমতা ও মানবধিকার । .

সোসাইটিঃ সরকার/সংশ্লীষ্ট কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় অনুমতি গ্রহনের পর সকল উদ্দেশ্য ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়ন করা হবে এবং সোসাইটি আইন ১৮৬০ এর ২০ ধারার পরিপন্থি যে কোন উদ্দেশ্যবলি অকার্যকর বলে বিবেচিত হবে।

১. নৈতিক ও আইনী অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনসাধারনের মধ্যে এই অধিকারগুলো রক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা।

২.যোগ্যতা বৃদ্ধি ,নিঃস্ব ও বেকার মানুষদের মধ্যে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা।

৩.দরিদ্র ও দুর্বল শিশুদের মৌলিক আধিকার নিশ্চিত করতে ,একটি উন্নত লিঙ্গ সমতা সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে নারী- পুরুষের সামাজিক অর্থনৈতিক ও মানবধিকার বাস্তবায়ন।

৪. গরিব অসহায় বেকার যুবকদের জন্য বাস্তবমুখী কারিগরী শিক্ষা ও মার্চেন্ডাইজিং প্রশিক্ষন, কম্পিউটার প্রশিক্ষনের ডিপ্লোমা প্রদান করা।

৫. অদক্ষ শিক্ষিত বেকার জনশক্তিকে বিভিন্ন কারিগরী/সাধারণ শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুকে বেদেশে উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিনা মূল্যে যাবতীয় পরামর্শক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করা ।

৬.প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবালায় স্বেচ্ছামূলক কার্যক্রম গ্রহন ও তা বাস্তবায়ন করা এবং অবহেলিত দরিদ্র মানুষের মধ্যে ত্রান সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম গ্রহন।

৭.স্বল্পশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিরত মানব গোষ্ঠীকে উন্নত পদ্ধতিতে সেবামূলক প্রশিক্ষন , বৃত্তিমূলক শিক্ষা , গ্রাফিক্স ডিজাইন , হার্ডওয়্যার ও সফটওয়ার ইনঞ্জিনিয়ারিং প্রশিক্ষনের ব্যবস্থার গ্রহন ও ডিপ্লোমা প্রদান।

৮. বিদেশি কর্মরত পুরুষ ও নারীদের স্বদেশে অবস্থিত পরিবারের কল্যানে ভূমিকা রাখা এবং সূখী পরিবার গঠনে সহায়তা রাখা।

৯. ব্লাড ব্যাংক স্থাপন, চিকিৎসা ব্যয় বহনে অপরাগ ব্যাক্তিদের সহযোগীতা প্রদান। স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক বিভিন্ন র‍্যালী ও সেমিনার কর্মশালা ও কনফারেন্স আয়োজন করা।

১০.জনগোষ্ঠীর নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা।

১১.ফাউণদেশনের উদ্দেশ্য সাধনে সহায়ক বিবেচনায় সরকার অথবা অন্য কোন স্থানীয়, মিউনিসিপ্যাল কিংবা সরকারী/আধাসরকারী কোন সংস্থার সাথে যে কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া।

১২. জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য বিশেষত অভাবগ্রস্থ, দরিদ্র সকল প্রকার প্রতিবন্ধী, অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত অনগ্রসার শ্রেনীর মানুষের জন্য সহজ শর্তে আর্থিক সহযোগীতা কার্যক্রম গ্রহন ও বাস্তবায়ন।

১৩. নির্যাতিত নারী ও পুরুষকে আইনগত সুবিধা প্রদান করা।

১৪.প্রয়োজন ভিত্তিতে সরকার সমর্থিত প্রোগ্রামের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করা।

১৫.নারী ও পুরুষের মধ্যে যৌন বৈষম্য দূরীকরনে কাজ করা এবং নারী-পুরুষের সমতার ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য বাস্তবমূখী কর্মসূচি গ্রহন করা।

১৬. চারুকলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে চিত্রাংকন ও চিত্র বিনোদন প্রতিযোগীতার ব্যবস্থা গ্রহন করা।

১৭.জনসাধারনের মধ্যে সাহিত্য বিষয়ক কার্যক্রম প্রচার করা ও বিভিন্ন সভা সেমিনার আয়োজন করে সমাজের বিভিন্ন সমল কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরুপ গুনীজন সম্মাননা প্রদান করা।

১৮.প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ইহার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বনাওয়ন ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর ব্যবস্থা করাসহ স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষন , সুস্থ্য স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানি পান নিশ্চিত করনে ভূমিকা পআলন করবে।

১৯.বেওয়ারিশ লাশ দাফন।

২০. গরীব ও অসহায় মানুষদের আইনী সহায়তা প্রদান করবে।

২১. কমিউনিটি পর্যায়ে সসামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

২২. সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদ , এসিড নিক্ষেপ , বাল্যবিবাহ এবং নির্যাতনের মতো সামাজিক রোগ হ্রাস করা।

২৩। যৌন রোগ সনাক্তকরন ও নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা রাকাহ।

২৪. সর্বোপরি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যে কোন গঠনমূলক/ উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহন করা।